পটুয়াখালী কুয়াকাটায় ম্যারাথন দৌড়ের শুভ উদ্বোধন করেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ

পটুয়াখালী কুয়াকাটায় ম্যারাথন দৌড়ের শুভ উদ্বোধন করেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ
আব্দুল আলীম খান পটুয়াখালী  প্রতিনিধিঃ মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ এবং দুর্নীতিকে অভিশাপ হিসেবে উল্লেখ করে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ বলেছেন, দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে এ তিন অভিশাপ রুখে দিতে হবে।
 
মাদকবিরোধী সচেতনতার লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আয়োজিত ‘বিচ ম্যারাথন’র উদ্বোধনী বক্তব্যে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।
 
‘চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে দৌড়াও বাংলাদেশ’ শিরোনামে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ১০ কিলোমিটারে এ ম্যারাথনের আয়োজন করেছে র‌্যাব। এতে অংশ নিয়েছেন পটুয়াখালী ও বরগুনার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার শিক্ষার্থী।
 
র‌্যাব ডিজি বলেন, মাদক, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ এখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। মাদক, জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ ও দুর্নীতি- এ তিনটি অভিশাপ। উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে সমাজকে এ অভিশাপমুক্ত করতে হবে, এ তিন অভিশাপ রুখে দিতে হবে।
 
বছরে এক লাখ কোটি টাকার মাদকের লেনদেন হয় জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, এ বিপুল অংকের অর্থ যদি দেশের উন্নয়নে ব্যয় করতে পারি, তাহলে দেশটা আরও এগিয়ে যেত। আমরা একটি সুস্থ-সবল পরবর্তী প্রজন্ম চাই।
 
র‌্যাব প্রধান বলেন, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধসহ যে কোনো সংকটের সময় দেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ অসম্ভবকে সম্ভব করার দেশ। এবারও সবাই মিলে সচেষ্ট হলে দেশের উন্নয়নে এ তিন অভিশাপ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
 
মাদকের বিরুদ্ধে সবার জোরদার ভূমিকা প্রত্যাশা করে বেনজীর আহমেদ বলেন, সমাজকে মাদকমুক্ত করার দায়িত্ব শুধু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার নয়। মাদকের বিরুদ্ধে সবারই সামাজিক দায়িত্ব রয়েছে। মাদকের সাপ্লাই অ্যান্ড ডিমান্ড (সরবরাহ এবং চাহিদা) বন্ধ করতে হবে।
 
তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধু সাপ্লাই বন্ধ করতে পারে। কিন্তু ডিমান্ড বন্ধ করতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই একসঙ্গে এগিয়ে এলে আমরা দ্রুতই মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করতে পারবো।
 
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে র‌্যাব ডিজি বলেন, পরিবারকে নজর রাখতে হবে, যেন সন্তানরা মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে না যায়। মাদকে জড়িয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। সমাজ-রাষ্ট্রের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে মাদকের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে।
 
বেনজীর আহমেদ বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টির জন্যই আজকের এ বিচ ম্যারাথন। আগামী দিনগুলোতে অবশ্যই মাদককে আমরা পরাজিত করবো, আজকে এই হোক প্রতিজ্ঞা।
 
বক্তব্য শেষে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে বিচ ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন র‌্যাব ডিজি। এরপর তিনি নিজেও বিচ ম্যারাথনে অংশ নেন। এসময় র‌্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, টুরিস্ট পুলিশ, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।